Type Here to Get Search Results !

বাংলা সাহিত্যে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার

বাংলা সাহিত্যে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার




    জ্ঞানপীঠ পুরস্কার ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার । ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম সাহিত্যিকদের জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রদান করা হয় । পুরস্কারের অর্থমূল্য ৭০০০০০ টাকা, সঙ্গে জ্ঞান-শিল্পকলা এবং সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর একটি প্রতিমূর্তি এবং একটি মানপত্র প্রদান করা হয় ।

    ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দের আগে পর্যন্ত কোন একটি নির্দিষ্ট রচনার জন্য জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রদান করা হত । কিন্তু তার পর থেকে ভারতীয় সাহিত্যে জীবনব্যাপী অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হতে থাকে ।

    মালায়লাম লেখক জি শঙ্কর কুরুপ ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে “ওডাক্কুঝল” গ্রন্থের জন্য প্রথম জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন ।

    বাংলা সাহিত্যে প্রথম জ্ঞানপীঠ পুরস্কার  লাভ করেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর “গনদেবতা” (১৯৪২) উপন্যাসের জন্য।


    বাংলা সাহিত্যে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপকগণ



    তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়


     ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর  “গণদেবতা” (১৯৪২) উপন্যাসের জন্য বাংলা সাহিত্যে প্রথম জ্ঞানপীঠ পুরস্কার  লাভ করেন।

    ১৩৪৭ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাস থেকে ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাস পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে উপন্যাস টি “চণ্ডীমণ্ডপ” নামে প্রকাশিত হয়।

    ১৩৪৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে উপন্যাস টি “গনদেবতা” নামে প্রকাশিত হয়।

    বিভাগোত্তর ভারতবর্ষের সমাজ ব্যবস্থা এবং স্বাধীনতা আন্দোলন ও শিল্পায়নের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ সমাজের বিবর্তন এই উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু।

    ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর “পঞ্চগ্রাম” উপন্যাসটিকে পরবর্তী কালে “গনদেবতা” -র অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গন্য করা হয়।

    ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তরুণ মজুমদার এই উপন্যাস অবলম্বনে “গনদেবতা” শিরোনামেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।



    বিষ্ণু দে

    বিষ্ণু দে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে তাঁর “স্মৃতি সত্ত্বা ভবিষ্যৎ” (১৯৬৩) কাব্যগ্রন্থের জন্য জ্ঞানপীঠ পুরস্কার  লাভ করেন।

    বিষ্ণু দে রচিত শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ।

    আশাহীন যান্ত্রিক জীবনের চিত্র ফুটে উঠেছে এই কাব্যগ্রন্থে।

    কাব্যগ্রন্থের “নান্নুরে” কবিতাটি কবি চণ্ডীদাস কে স্মরণ করে রচনা করেছেন।

    এই কাব্যগ্রন্থের বিখ্যাত কবিতা - “দামিনী”।



    আশাপূর্ণা দেবী

    আশাপূর্ণা দেবী ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে “প্রথম প্রতিশ্রুতি” (১৯৬৫) উপন্যাস টি রচনা করে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার  লাভ করেন।

    আশাপূর্ণা দেবীর ত্রয়ী উপন্যাসের প্রথম ভাগ প্রথম প্রতিশ্রুতি উপন্যাস টি।

    এই ত্রয়ী উপন্যাসের পরবর্তী দুটি উপন্যাস - “সুবর্ণলতা”(১৯৬৬), “বকুলকথা”(১৯৭৩)।

    এই উপন্যাস প্রসঙ্গে লেখিকা বলেছেন - “বাংলাদেশের সেই অজ্ঞাত অন্তঃপুরের নিভৃতে প্রথম যাঁরা বহন করে এনেছেন প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর, এই গ্রন্থ সেই অনামী মেয়েদের একজনের কাহিনী।”

    চরিত্র – সুবর্ণলতা, নবকুমার, ভুবনেশ্বরী, সত্যবতী, রামকালী, গোবিন্দ গুপ্ত, সৌদামিনী প্রমুখ।

    এই উপন্যাস অবলম্বনে দীনেন গুপ্ত -এর পরিচালনায় ১৯৭১ সালে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।


    সুভাষ মুখোপাধ্যায়

    ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে “পদাতিক” (১৯৪০) কাব্যগ্রন্থের জন্য সুভাষ মুখোপাধ্যায় জ্ঞানপীঠ পুরস্কার  লাভ করেন।

    “পদাতিক” কাব্যগ্রন্থ টি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থ।

    বিপ্লব ছাড়া যে মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়, এই কাব্যগ্রন্থের বিভিন্ন কবিতায় তা বার বার ফুটে উঠেছে।



    মহাশ্বেতা দেবী

    ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে "হাজার চুরাশির মা” (১৯৭৪) উপন্যাস রচনার জন্য মহাশ্বেতা দেবী ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

    নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে উপন্যাস টি রচিত।

    এই উপন্যাসের মধ্যে রূপকার্থে লুকিয়ে আছে মহাশ্বেতা দেবীর নিজ সন্তান নবারুণ ভট্টাচার্য।

    চরিত্র – সুজাতা(মা), ব্রতী(বিপ্লবী ছেলে), দিব্যনাথ(ব্রতীর পিতা, সুজাতার স্বামী), নন্দিনী, সমু, বিজিত, পার্থ, লাল্টু, হেম।

    ১৯৯৮ সালে গোবিন্দ নিহালনি এই উপন্যাস অবলম্বনে হিন্দিতে “হাজার চৌরাসি কি মা” নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

    এই চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ কাহিনী চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।


    শঙ্খ ঘোষ

    ২০১৬ সালে বাংলা সাহিত্য ভারতীয় সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য শঙ্খ ঘোষ জ্ঞানপীঠ পুরস্কার  লাভ করেন।

    Tags

    Post a Comment

    0 Comments
    * Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

    Top Post Ad

    Below Post Ad